Home Bangla Patra Bharati Nil Kankra Rahasya by Tridib Kumar Chattopadhyay নীল কাঁকড়ার রহস্য

Reviews

Currently no review available

Nil Kankra Rahasya by Tridib Kumar Chattopadhyay নীল কাঁকড়ার রহস্য

  • Share:

MRP : 100 0.00% OFF

Discounted Price : 100

1 New book 0.00% OFF
Only few products left

Shipping Charge is 40/-

Quick Overview

Availability: In Stock

জগুমামার প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক শাস্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় মারা গেছেন। পুলিশের অনুমান, সুইসাইড। স্ত্রী

বলছেন, খুন।... জানা যায়, সামুদ্রিক কাঁকড়ার শরীর থেকে জীবনদায়ী এক ওষুধ আবিষ্কারের গবেষণা করছিলেন শান্তশ্রী। জণ্ডমামা-টুক রওনা হল সমুদ্র শহর চাঁদিপুর।... তারপর ..... নীল কাঁকড়া কি সত্যিই আছে? নইলে উড়োচিঠি পাওয়া যায় কেন, ব্লু জনাব মে] বাইট ইউ' ?... লন্ডন প্রবাসী মাসতুতো দাদার বিয়েতে যাওয়ার সুযোগ হঠাৎই পেয়ে গেল টুকলু। জণ্ডমামাও পৌঁছে গেলেন।..... বিনামেঘে বজ্রপাত! টুকলুর ভাবী বউদির বাবা গ্রেপ্তার লন্ডন মিউজিয়াম থেকে চুরি গেছে আলেজান্ডারের আংটি'। মিউজিয়ামের সিকিউরিটি এজেন্সির কর্তা টুকলুর দাদার শ্বশুর .... জণ্ডমামাকে জড়িয়ে পড়তেই হয়।... বিচিত্র সব তথ্য উঠে আসে....এই আংটি আলেকজান্ডার ব্রিটিশরা নিয়ে দিয়েছিলেন পুরুকে ... আসে পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে।... পরপর দুবার চেষ্টা হয় গুমামাকে মারার ।... আংটি কোথায় ?...

নীল কাঁকড়ার রহস্য ও আলেকজান্ডারের আংটি। ঢুকলু- জন্তনামার দু-দুটি দুই স্বাদের রহস্য-অ্যাডভেঞ্চার এল একমলাটে বন্দি হয়ে।
Author: Tridib Kumar Chattopadhyay
Language: Bengali
Pages: 96
Publisher: Patra Bharati


॥ এক ॥
বার আবহাওয়ার খবর। উপগ্রহ মারফত দেখা গেছে দেশের উত্তর এবার -পূর্বাঞ্চলের স্থানে-স্থানে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে। এর ফলে আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও উড়িষ্যার উপকূলবর্তী এলাকায় বজ্রপাতসহ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ....
টিভিতে সন্ধে সাড়ে সাতটার সংবাদ শেষ হচ্ছে। বাইরে ঝমঝমে বৃষ্টি। আকাশে চমকে-চমকে উঠছে চোখধাঁধানো বিদ্যুৎ। সঙ্গে মেঘের গর্জন। মা চিন্তিত কণ্ঠে বললেন, – জগু এখনও ফিরল না?
মায়ের কথা শেষ হল না। জানলার কাচে তীব্র আলোর ঝলকানি, গাড়ির হর্ন এবং কলিংবেলের শব্দ।
পিকলু দরজা খুলে দিল। জগুমামা ভিজে চুপচুপে। বাথরুমের দিকে যেতে-যেতে বললেন, – আজকের বাংলা কাগজটা চাই। একটা খবর চোখ এড়িয়ে গেছে।
প্রায় হপ্তাদুয়েক হল জণ্ডমামা ছুটি কাটাতে এসেছেন কলকাতায়। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফোর্থ ইয়ারের পরীক্ষা দিয়ে আমিও এসেছি বাড়িতে।
সুতরাং যাকে বলে সোনায় সোহাগা। স্বপ্নের মতো কাটছে দিনগুলো। পিকলু বেচারি সত্যিই অভাগা। কোনওকালেই মামা কলকাতায় থাকার সুযোগ নিতে পারে না। এবারেও ওর সামনে হায়ার সেকেন্ডারি। ব্যাজার মুখে তাই বই মুখে বসে আছে।
কয়েকদিন পর আজ প্রথম আমাদের দুজনের প্রোগ্রাম আলাদা হয়ে গেছিল। আমার জলপাইগুড়ির বন্ধু রথীন এসেছিল। তাই মামা বিকেল চারটে নাগাদ একাই বেরিয়ে গেছিলেন।
কাগজ নিয়ে মামার ঘরে ঢুকে পড়লাম। চুল আঁচড়াতে-আঁচড়াতে মামা এগিয়ে এলেন। কাগজ ধরে ওপর থেকে নিচে অবধি খুঁটিয়ে দেখছেন আর পাতা ওলটাচ্ছেন।
এই তো! আশ্চর্য! সকালে চোখে পড়ল না।—মামা ছয়ের পাতার বাঁ-কোণে চিরুনি ঠেকালেন। ভূ কুঁচকে বললেন, উহু! শান্তশ্রী তো সুইসাইড করার ছেলে ছিল না।
অধ্যাপকের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গতকাল বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বদিকের গেটের অনতিদূরে বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক শান্তশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতদেহের মুখ ছিল ক্ষতবিক্ষত। তার ফলে সনাক্তকরণে বেশ দেরি হয়। পাশেই নাইট্রিক অ্যাসিডের খালি বোতলও পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল ছিল নিরিবিলি, ঝোপঝাড় গাছপালায় ভরতি। শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক ছিল সাদা প্যান্ট, সাদা সার্ট। প্যান্টের পকেট থেকে প্রায় ৫০০ টাকা ও কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। নাইট্রিক অ্যাসিড মুখে ঢেলে শান্তশ্রী আত্মহননের পথ বেছে নেন। অধ্যাপকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আমি খবরটা খুঁটিয়ে পড়ে বললাম, – শান্তশ্রীবাবু তোমার বন্ধু ছিলেন? —না না। অনেক জুনিয়র। আমি যখন সায়েন্স কলেজে পড়াতাম, ওরা কয়েকজন আমার আন্ডারে ডক্টরেট করেছিল। ওদের মধ্যে শান্তই ছিল সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট।
—ওঁর আত্মীয়-স্বজন ... —ওর বাবা-মা দুজনেই গত হয়েছেন। শান্ত একমাত্র সন্তান। বউ চৈতালী ওর ক্লাসমেট ছিল। আমার ছাত্রী। ওদের একটাই ছেলে।
—বাঃ! সুখী পরিবার।
জগুমামা নিঃশব্দে ঘাড় নাড়লেন। তারপর বললেন, – শান্তর এক বন্ধু উমাশংকরের সঙ্গে আজ হঠাৎ দেখা। সে বলল, পুলিশের ধারণা, শান্তর সঙ্গে চৈতালীর বনিবনা হচ্ছিল না। তাই শান্ত শেষ পর্যন্ত সুইসাইডের পথ বেছে নেয়। কিন্তু—
একটু থেমে মামা বললেন, – উমা খবরটা পেয়ে আজ সকালে চৈতালীর সঙ্গে দেখা করে। চৈতালী ভেঙে পড়েছে। সে বলেছে—এসব ডাহা মিথ্যে প্রচার। এটা আদৌ আত্মহত্যা নয়, মার্ডার।
—মার্ডার! কেন? তোমার কী মনে হচ্ছে ? আমার এখনও কিছুই মনে হচ্ছে না। বছর তিনেক ওদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি। মামা সদ্যজ্বালানো সিগারেটে লম্বা টান দিলেন।....

Why shop from bookzonecollegestreet ?
FAST Delivery
Genuine Product
Value For Money

Reviews

Currently no review available
Post a Review
Most viewed products View All
Category Related Product View View All
Fastest Doorstep Delivery
100% Authentic Products
Cash on Delivery available
Requisition / Bulk Order Form
My Cart